Description
মৃত্যুর পর আমাদের গন্তব্য কোথায়? আমরা কবরে যাব, অতঃপর পুনরুত্থিত হব, হাশর কায়েম হবে, আল্লাহর কাছে আমাদের কৃতকর্মের জবাব দিতে হবে… ইত্যাদি। কিন্তু জ্ঞানশূন্য বস্তুবাদী নাস্তিক সম্প্রদায়ের অপযুক্তির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে কেউ কেউ পরকালের ব্যাপারে সংশয়ে পতিত হচ্ছেন। অনেকটা এমন যে, বিশ্বাস করি… বিশ্বাস করি না। এমন অসংখ্য যুবক রয়েছে যারা এ মরণ ব্যধিতে আক্রান্ত। ফেতনা ফাসাদ এবং দ্বীন নিয়ে অবহেলার এ যুগে শত্রুদের আক্রমণের শিকার হয়ে অগণিত মানুষ আজ এ কঠিন ব্যাথায় জর্জরিত। পরকাল সম্পর্কে আমাদের মাঝে সঠিক জ্ঞান না থাকাটা এই সংশয়ের পেছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে। যার ফলে বস্তুবাদী নাস্তিক সম্প্রদায় বিভিন্ন অপযুক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়। অথচ পরকাল শুধুমাত্র একটা ধারণা নয়! এর সাম্যক বাস্তবতার পেছনে অসংখ্য যৌক্তিক এবং অগণিত বর্ণনাভিত্তিক প্রমাণ রয়েছে। বক্ষ্যমান সচিত্র গ্রন্থটি পাঠককে পরকাল বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা প্রদানে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।

ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী
Authors: ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল আলীমড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় “”””দাওয়াত ইল্লাল্লাহ”””” বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।
![]()
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল আলীম
Authors: ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল আলীমমুহাম্মাদ আবদুল আলীম।। সহজ সরল মেধাবী ও কর্মতৎপর একজন মানুষ। মাদরাসা-শিক্ষার সর্বোচ্চ কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় বাের্ডপ্লেস করার মাধ্যমে তাঁর শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি। কর্মজীবনে শিক্ষকতার পেশায় তিনি যে প্রতিষ্ঠানে গিয়েছেন, সেখানেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। মাঝে দুটি মাদরাসায় প্রায় ৮/৯ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেও সুনাম কুড়িয়েছেন। এত অল্প বয়সেও তিনি এ পর্যন্ত যেসব সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত হয়েছেন, সবগুলােতে সর্বোচ্চ পদ অলংকৃত করেছেন। তাঁর লেখালেখিতে প্রবেশের বয়স এখনও এক দশক হয়নি; কিন্তু মৌলিক, অনুবাদ এবং সম্পাদনা মিলিয়ে তার অনেকগুলাে বই ইতােমধ্যে বাজারে এসেছে। তার অনুবাদ এত প্রাঞ্জল যে, সেটি তরজমা না কি মৌলিক লেখা- ঠাওর করা যায় না। আর মৌলিক লেখায় তাে এমন রস দিতে পারেন যে, ধর্মীয় শুষ্ক বিয়য়গুলােও তাঁর হাতে রসকদম্ব হয়ে ওঠে। মুহাম্মাদ আবদুল আলীম বর্তমানে ঢাকা গেণ্ডারিয়ার জামালুল কুরআন মাদরাসার মুহাদ্দিস। তাঁর জন্ম ১৫ অগ্রহায়ণ, ১৩৮২ বাংলা সনে। আল্লাহ তাকে কবুল করুন।
Reviews
There are no reviews yet.