Sale!

রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত (Do Not Become Angry Hat Baralei Jannat)

৳ 300.00 ৳ 150.00

আমরা সবাই জানি, মানুষ নানা কিসিমের হয়ে থাকে। কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র। কেউ ধৈর্যশীল, কেউ রাগী। কেউ দানশীল, কেউ কৃপণ ইত্যাদি। মানুষের এই শ্রেণিভেদকে সামনে রেখে তাদের সাথে আমাদের আচরণ করা উচিত। এই বিষয়টি নববী যিন্দেগীর কিছু ঘটনাতে আমরা প্রত্যক্ষ করবাে। আনাস রা. থেকে জানা যায় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনাে তাকে ‘উফ” শব্দটুকুও বলেন নি। আয়েশা রা.-এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার এসে বললেন, তােমাদের কাছে কি খাবার আছে? তারা বললেন, না। তখন তিনি রাগ করলেন না। এমন কোন কথাও বললেন না যে, কেন তােমরা নাস্তা তৈরি করলে না? অথচ তােমরা জান আমি ক্ষুধার্ত। মসজিদ থেকে আগমন করবাে। তিনি শুধু বলেছিলেন, ঠিক আছে। আমি তাহলে সিয়াম পালন করলাম। আরেকবার তিনি এসে বললেন, তােমাদের কাছে খাবার আছে? তারা বললাে, জী আছে। তিনি বললেন, তাহলে নিয়ে আসাে। তারপর বললেন, তােমাদের কাছে তরকারী আছে? তারা বললাে, আমাদের কাছে শুধু সিরকা আছে। তিনি বললেন, নিয়ে এসাে। তারপর সেটা দিয়েই তিনি ভােজন-পর্ব সম্পাদন করেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব ক্ষেত্রে বিবেক দিয়ে কাজ করতেন। উদাহরণস্বরূপ একবার তার কাছে এক গ্রাম্য লােক এসে মসজিদের ভেতরই প্রশ্রাব করে দিল। সাহাবিরা এই দৃশ্য দেখে তাকে বাধা দিতে উদ্যত হল । কারণ তারা কেবল আবেগ দিয়েই বিষয়টি বিবেচনা করছিলেন কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিকই ভেবেছেন, এমনটা হলে কী কী অঘটন ঘটতে পারে। তাই তিনি বললেন, তাকে বাধা দিওনা।’ এরপর এক বালতি পানি আনতে বলে তা ধুয়ে দিলেন। যদি তাকে বাধা দেওয়া হত তাহলে প্রথমেই যা ঘটনার আশংকা ছিল তা হল, তার কাপড়টা নাপাক হয়ে যেত। দ্বিতীয়ত তার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে অমুসলিম হয়ে যাবারও আশংকা ছিল। অথবা ব্যাথা বা হঠাৎ প্রশ্রাব বন্ধ হওয়া থেকে সৃষ্ট নির্দিষ্ট ধরনের রােগেও সে আক্রান্ত হতে পারতাে। রাগ করা না করা নিয়ে এরকম আরও অনেক কিছুই বইটিতে পাবেন।

85 in stock

Add to Wishlist
Add to Wishlist

Description

আমরা সবাই জানি, মানুষ নানা কিসিমের হয়ে থাকে। কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র। কেউ ধৈর্যশীল, কেউ রাগী। কেউ দানশীল, কেউ কৃপণ ইত্যাদি। মানুষের এই শ্রেণিভেদকে সামনে রেখে তাদের সাথে আমাদের আচরণ করা উচিত। এই বিষয়টি নববী যিন্দেগীর কিছু ঘটনাতে আমরা প্রত্যক্ষ করবাে। আনাস রা. থেকে জানা যায় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনাে তাকে ‘উফ” শব্দটুকুও বলেন নি। আয়েশা রা.-এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার এসে বললেন, তােমাদের কাছে কি খাবার আছে? তারা বললেন, না। তখন তিনি রাগ করলেন না। এমন কোন কথাও বললেন না যে, কেন তােমরা নাস্তা তৈরি করলে না? অথচ তােমরা জান আমি ক্ষুধার্ত। মসজিদ থেকে আগমন করবাে। তিনি শুধু বলেছিলেন, ঠিক আছে। আমি তাহলে সিয়াম পালন করলাম। আরেকবার তিনি এসে বললেন, তােমাদের কাছে খাবার আছে? তারা বললাে, জী আছে। তিনি বললেন, তাহলে নিয়ে আসাে। তারপর বললেন, তােমাদের কাছে তরকারী আছে? তারা বললাে, আমাদের কাছে শুধু সিরকা আছে। তিনি বললেন, নিয়ে এসাে। তারপর সেটা দিয়েই তিনি ভােজন-পর্ব সম্পাদন করেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব ক্ষেত্রে বিবেক দিয়ে কাজ করতেন। উদাহরণস্বরূপ একবার তার কাছে এক গ্রাম্য লােক এসে মসজিদের ভেতরই প্রশ্রাব করে দিল। সাহাবিরা এই দৃশ্য দেখে তাকে বাধা দিতে উদ্যত হল । কারণ তারা কেবল আবেগ দিয়েই বিষয়টি বিবেচনা করছিলেন কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিকই ভেবেছেন, এমনটা হলে কী কী অঘটন ঘটতে পারে। তাই তিনি বললেন, তাকে বাধা দিওনা।’ এরপর এক বালতি পানি আনতে বলে তা ধুয়ে দিলেন। যদি তাকে বাধা দেওয়া হত তাহলে প্রথমেই যা ঘটনার আশংকা ছিল তা হল, তার কাপড়টা নাপাক হয়ে যেত। দ্বিতীয়ত তার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে অমুসলিম হয়ে যাবারও আশংকা ছিল। অথবা ব্যাথা বা হঠাৎ প্রশ্রাব বন্ধ হওয়া থেকে সৃষ্ট নির্দিষ্ট ধরনের রােগেও সে আক্রান্ত হতে পারতাে। রাগ করা না করা নিয়ে এরকম আরও অনেক কিছুই বইটিতে পাবেন।

Additional information

Author

ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী

Edition

1st Published, 2017

ISBN

9789849001149

Language

Bangla

Page Number

128

Translator

মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসঊদ


ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী

Authors: ,


ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় “”””দাওয়াত ইল্লাল্লাহ”””” বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।


মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসঊদ

Authors: ,


Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত (Do Not Become Angry Hat Baralei Jannat)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Post comment