Description
ঈমান এবং কুফর মধ্যবর্তী বিশ্বাস হচ্ছে নিফাক। বড় নিফাক ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে খারেজ করে দেয়, এবং ছোট নিফাক ব্যক্তিকে জাহান্নামে নেয়ার জন্য যথেষ্ট হয়।নিফাক হচ্ছে এমন কতক অন্তরের রোগের সমষ্টি, যা ব্যক্তির বাহ্যিক দ্বীনদারিতার সাথে অভ্যন্তরীণ অবস্থার পার্থক্য তৈরি করে। কিন্তু এই নিফাক এতটাই সূক্ষ্ম এবং স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে সেও নানান নিফাকে জড়িত অথচ সে সেগুলোকে নিফাকই মনে করে না!তাই নিফাক সম্পর্কে জানা ঈমানের দাবী। নিফাক থেকে বেঁচে থাকা দ্বীনদারিতা অর্জনের অন্যতম শর্ত। নিফাকের প্রকারভেদ, প্রচলিত নিফাকসমূহের চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচিত পুরো বইটি।

ড. আয়েয আল কারনী
Authors: ড. আয়েয আল কারনী, মাওলানা মাকসুদ আহমদ“ড. আয়েয আল করনী ১৩৭৯ হিজরী মােতাবেক ১৯৫৯ ইং সনে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ। নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত অধ্যয়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়।
ড. আয়েয আল করনী এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ। রচনা করেছেন। সেগুলাের মধ্যে আততাফসীরুল মুয়াসার, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, আশিক, লা তাহযান। বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
দীর্ঘ সাত বছর তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীসের উপর অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে দাওয়াত ইলাল্লাহই তাঁর প্রধানতম কাজ।ড. করনী দাওয়াতের উদ্দেশ্যে লেখালেখি, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গ্রন্থরচনার পাশাপাশি সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস ও ইউটিউব ইত্যাদিতেও সমানভাবে সক্রিয়। তার বক্তৃতার ক্যাসেটের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।”
![]()
মাওলানা মাকসুদ আহমদ
Authors: ড. আয়েয আল কারনী, মাওলানা মাকসুদ আহমদমাওলানা মাকসুদ আহমাদ জন্ম ৫ই এপ্রিল ১৯৬২। চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার অন্তর্গত খেড়িহর গ্রামে। পিতা মুরহুম ক্বারী ছেরাজুল হক। ১৯৭৭ সালে ইলমে দীন অর্জনের উদ্দেশ্যে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ফরিদাবাদ মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, হাদিস-জগতের মুকুটহীন সম্রাট হযরত মাওলানা আব্দুল হাফিয রহ. এর সান্নিধ্যধন্য হওয়ার সুযােগ লাভ করেন। প্রিয় শিক্ষকের মত তিনিও নিজেকে একজন নিভৃতচারী হিসেবে গড়ে তােলার প্রয়াস পান। শিক্ষাজীবনের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৯১ সালে । তারপর সাভারের অন্যতম প্রাচীন মাদরাসা-আল জামিয়াতুল মাদানিয়া রাজফুলবাড়িয়ায় খেদমতে নিয়ােজিত হন। এখনও আছেন সেখানেই। লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ততা সেই ছাত্রজীবন থেকেই। মাদ্রাসার দেয়ালিকা দিয়ে। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে হেঁটে চলছেন সাহিত্যের অলিগলি। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অভিজ্ঞতা ও অর্জনের পাল্লাটাও হয়েছে বেশ ভারি। তার সমকালীন লেখাগুলােয় তা দৃশ্যমান। তবে শখের সঙ্গে সখ্য গড়ে লেখালেখির সূচনা হলেও তিনি এখন আদ্যোপান্ত একজন। পাঠকপ্রিয় লেখক। তার লেখার বৈশিষ্ট্য হল স্বচ্ছন্দ গতিময়তা। তার বইগুলােতে গদ্যের প্রবাহ, শব্দের সুপ্রয়ােগ এবং আঙ্গিক ও উপস্থাপনার আধুনিকতা বিশেষভাবে নজর কাড়ে।
Reviews
There are no reviews yet.