Description
প্রবৃত্তির অনুসরণ নিঃসন্দেহে মানুষকে কল্যাণকাজে বাধা দেয়। সৎকাজে বিমুখ করে। বিবেক-বুদ্ধি নাশ করে। কারণ, প্রবৃত্তির অনুসরণ মানুষের মাঝে মন্দ স্বভাব ও বদ আখলাক উৎপন্ন করে। মানুষকে মন্দ ও নোংরা কাজে উৎসাহিত করে। মানবতার বন্ধন দুর্বল ও ছিন্ন করে। অন্যায়-অপকর্মের পথ উন্মুক্ত করে।
প্রবৃত্তি ফেতনার বাহন আর দুনিয়া পরীক্ষার স্থান। অতএব, আপনি প্রবৃত্তি থেকে দূরে থাকুন, নিরাপদ থাকবেন। দুনিয়ার প্রতি বিমুখ হোন, লাভবান হবেন। দুনিয়ার আমোদ-প্রমোদ ও আনন্দ-উপভোগের বাহার দেখিয়ে নফস যেন আপনাকে ধোঁকায় না ফেলে। দুনিয়ার উন্মুক্ত সৌন্দর্য যেন আপনাকে প্রবঞ্চিত না করে। এ দুনিয়ার খেল-তামাশা একদিন শেষ হয়ে যাবে। যুগের বাহারী সৌন্দর্য এক সময় পুরোনো ও মলিন হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যে হারামে লিপ্ত হবেন এবং যে গুনাহ করবেন, তার দায় আপনার কাঁধে চিরকাল থেকে যাবে।
প্রবৃত্তি মানুষের সবচেয়ে বড় দুশমন। তাই প্রত্যেকের উচিত, অন্য যেকোনো দুশমনের তুলনায় প্রবৃত্তির মোকাবিলা আরও দৃঢ় ও মজবুতভাবে করা; তার বিরুদ্ধে সর্বদা লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
![]()
মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ
Authors: মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ, শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদMufti Muhammad Mamunur Rashid মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ । জন্ম ১৯৮৬ সনের ১২ সেপ্টেম্বর । প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাও এর লক্ষ্মীবরদী নামক গ্রামে | লেখা-পড়ার হাতেখড়ি স্থানীয় মাদরাসা ‘ভিটিপাড়া ইসলামিয়া ইবরাহীমিয়া মাদরাসা’য় ৷ প্ৰাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে চলে আসেন ঢাকায় । বাবা সোহরাব উদ্দীনের ব্যবসাস্থল খিলগাঁও হওয়ার সুবাদে ভর্তি হন জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম, খিলগাঁও’-এ । সেখান থেকেই দাওরায়ে হাদীস শেষ করেন এবং পবিত্র কুরআনের তাফসীর বিষয়ক উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন । অতঃপর সাভারের দারুত তাখাসসুস আলমান্নানিয়া আল-ইসলামিয়া’ থেকে ইসলামী আইন শাস্ত্রের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন । ’মাগফিরাতের বিস্ময়কর ঘটনাবলী’ অনুবাদকের প্রথম অনুবাদ । নারীর বেহেশতী সাজ’ প্ৰথম প্রকাশনা। রচনা, সংকলন, সম্পাদনা ও অনুবাদসহ তার বেশ কয়েকটি বই এখন বাজারে । উলুম, দক্ষিণগাঁও, বাসাবো, ঢাকা-১২১৪’-এ খেদমতে নিয়োজিত আছেন ।

শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
Authors: মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ, শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদশায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ একজন বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে তিনি সৌদি আরবে ব্যবসা করে আসছেন। পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার নিকট একটি গ্রামের তাঁর জন্ম।
তার পরিবার ছিল চারুলিপিকর। তার গ্রামের অনেকেই ক্যালিওগ্রাফী করে জীবিকা নির্বাহ করত। একজন ক্যালিওগ্রাফার হওয়ার কারণে তিনি বুঝতে পারতেন, হাতের লেখার সৌন্দর্য কীভাবে ফুটে ওঠে। ইসলামী মূল্যবােধসম্পন্ন একটি পরিবারে তিনি প্রতিপালিত হন।
শায়খ আবদুল মালিক তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন ১৯৭৪-রও আগে। ছােট্ট একটি কারখানায় একজন কারণিক হিসেবে। পরিবারের জীবিকাবহনের জন্য দিনরাত কাজ করতেন। ইসলাম ও জাগতিক বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলার উপযােগী শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন। এই শিক্ষার ফলে জীবনের উন্নতির পথে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ শক্তভাবে মুকাবিলা করতে তিনি সক্ষম হন।
১৯৮০ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করেন। একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানীতে নামমাত্র বেতনে চাকরিতে যােগ দেন। কিন্তু এটা ছিল তাঁর জীবনের সফলতার পথে প্রথম পদক্ষেপ। সামান্য কিছুদিন পরই রিয়াদের শিক্ষামন্ত্রণালয় হতে একটি চাকরির প্রস্তাব পেলেন। জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি কঠিনভাবে তার কর্তব্য পালন করে যেতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যােগ দেওয়ার সুযােগ হল। সেখানে থাকার সুবাদে তিনি বিশ্বের সেরা একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন-দারুসসালাম। সেই থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
Reviews
There are no reviews yet.