Description
নিঃসন্দেহে মানুষের অন্তর হচ্ছে তার সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বাদশাহ। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হচ্ছে উক্ত বাদশাহর অধীনস্ত সৈন্য-সামন্ত। সুতরা, বাদশাহ যতক্ষণ ঠিক থাকবে, সৈন্য-সামন্তও ঠিক থাকবে।
পবিত্র হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নুমান ইবনে বাশীর h থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ ইরশাদ করেছেন
জেনে রেখো! শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে; তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রেখো! সে গোশতের টুকরাটি হচ্ছে ক্বলব তথা অন্তর। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১৭৮]
মানুষের অন্তর হচ্ছে সুউচ্চ ও সুরক্ষিত দুর্গের মতো। তার রয়েছে অনেকগুলো দরজা ও পবেশপথ। আর শয়তান হচ্ছে অপেক্ষমান সুযোগ-সন্ধানী শত্রæর মতো। সে সর্বদা সর্বাত্মক চেষ্টা করে উক্ত দুর্গে প্রবেশ করতে। যেন সে তার নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারে।
সেই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণ ও হেফাজত কোনোভাবেই সম্ভব নয় তার দরজা ও প্রবেশপথসমূহে পাহাদারি ব্যতীত। সুতরাং, একজন জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানের জন্য আবশ্যক হচ্ছে, সেইসব দরজা ও প্রবেশপথের পরিচয় লাভ করা। যেন সে তার অন্তরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা সুযোগ-সন্ধানী শয়তানকে বাধা দিতে পারে; শয়তান যেন তার অন্তরে কোনোভাবেই প্রবেশ করতে না পারে। যেন তাতে কোনো ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।

শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
Author: শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদশায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ একজন বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে তিনি সৌদি আরবে ব্যবসা করে আসছেন। পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার নিকট একটি গ্রামের তাঁর জন্ম।
তার পরিবার ছিল চারুলিপিকর। তার গ্রামের অনেকেই ক্যালিওগ্রাফী করে জীবিকা নির্বাহ করত। একজন ক্যালিওগ্রাফার হওয়ার কারণে তিনি বুঝতে পারতেন, হাতের লেখার সৌন্দর্য কীভাবে ফুটে ওঠে। ইসলামী মূল্যবােধসম্পন্ন একটি পরিবারে তিনি প্রতিপালিত হন।
শায়খ আবদুল মালিক তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন ১৯৭৪-রও আগে। ছােট্ট একটি কারখানায় একজন কারণিক হিসেবে। পরিবারের জীবিকাবহনের জন্য দিনরাত কাজ করতেন। ইসলাম ও জাগতিক বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলার উপযােগী শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন। এই শিক্ষার ফলে জীবনের উন্নতির পথে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ শক্তভাবে মুকাবিলা করতে তিনি সক্ষম হন।
১৯৮০ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করেন। একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানীতে নামমাত্র বেতনে চাকরিতে যােগ দেন। কিন্তু এটা ছিল তাঁর জীবনের সফলতার পথে প্রথম পদক্ষেপ। সামান্য কিছুদিন পরই রিয়াদের শিক্ষামন্ত্রণালয় হতে একটি চাকরির প্রস্তাব পেলেন। জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি কঠিনভাবে তার কর্তব্য পালন করে যেতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যােগ দেওয়ার সুযােগ হল। সেখানে থাকার সুবাদে তিনি বিশ্বের সেরা একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন-দারুসসালাম। সেই থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
Reviews
There are no reviews yet.