Description
নিশ্চয় অহংকার ও আত্মম্ভরিতা এমন এক আত্মিক ব্যাধি, যা মানুষের চরিত্রকে চরমভাবে কলুষিত করে। মানুষকে সত্য ও হেদায়েতের পথ থেকে বিচ্যুত করে গোমরাহি ও ভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যায়। কারণ, অহংকার ও আত্মম্ভরিতা যখন কারও মাঝে বাসা বাঁধে এবং তার বিবেক-বুদ্ধি ও ইচ্ছার উপর বিজয়ী হয়ে যায়, তখন তাকে অত্যন্ত কঠোরতার সাথে এবং প্রবলভাবে সত্য-প্রত্যাখ্যান ও সত্যকে অস্বীকার করার দিকে নিয়ে যায়। ফলে সে সত্যের নিদর্শনও মুছে ফেলতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অতঃপর অহংকার ও আত্মম্ভরিতা তাকে নিয়ে যায় এমন এক স্তরে, যখন সে তার অন্তঃসারশূন্য আপাত মোহনীয় ও চটকদার কথার মাধ্যমে বাতিলকে সুসজ্জিত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করে উপস্থাপন করতে থাকে; যার কোনো যথার্থতা ও বাস্তবতা নেই। এর পাশাপাশি সে ছোট-বড় অন্যান্য সকল মানুষকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখতে থাকে এবং তুচ্ছ ও নীচ ভাবতে থাকে।
বক্ষ্যমাণ বইয়ে আমরা অহংকারের সংজ্ঞা বর্ণনা করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি আলোচনা করব অহংকার ও আত্মম্ভরিতার পার্থক্য, এর ক্ষতি, নিদর্শন, কারণ ও মানব জীবনে এর কী প্রভাব পড়ে তা নিয়ে। সবশেষে আলোচনা করব তার চিকিৎসা ও প্রতিকার নিয়ে ইনশাআল্লাহ।

শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
Author: শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদশায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ একজন বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে তিনি সৌদি আরবে ব্যবসা করে আসছেন। পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার নিকট একটি গ্রামের তাঁর জন্ম।
তার পরিবার ছিল চারুলিপিকর। তার গ্রামের অনেকেই ক্যালিওগ্রাফী করে জীবিকা নির্বাহ করত। একজন ক্যালিওগ্রাফার হওয়ার কারণে তিনি বুঝতে পারতেন, হাতের লেখার সৌন্দর্য কীভাবে ফুটে ওঠে। ইসলামী মূল্যবােধসম্পন্ন একটি পরিবারে তিনি প্রতিপালিত হন।
শায়খ আবদুল মালিক তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন ১৯৭৪-রও আগে। ছােট্ট একটি কারখানায় একজন কারণিক হিসেবে। পরিবারের জীবিকাবহনের জন্য দিনরাত কাজ করতেন। ইসলাম ও জাগতিক বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলার উপযােগী শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন। এই শিক্ষার ফলে জীবনের উন্নতির পথে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ শক্তভাবে মুকাবিলা করতে তিনি সক্ষম হন।
১৯৮০ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করেন। একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানীতে নামমাত্র বেতনে চাকরিতে যােগ দেন। কিন্তু এটা ছিল তাঁর জীবনের সফলতার পথে প্রথম পদক্ষেপ। সামান্য কিছুদিন পরই রিয়াদের শিক্ষামন্ত্রণালয় হতে একটি চাকরির প্রস্তাব পেলেন। জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি কঠিনভাবে তার কর্তব্য পালন করে যেতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যােগ দেওয়ার সুযােগ হল। সেখানে থাকার সুবাদে তিনি বিশ্বের সেরা একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন-দারুসসালাম। সেই থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
Reviews
There are no reviews yet.