সাহিত্য একটি জাতির মানসিক উন্নতির বাহন। মানবমস্তিষ্কের যাবতীয় বিকাশ সাহিত্যের মাধ্যমে সাধিত হয়। সততা, সাহস, বিচক্ষণতা, ন্যায়পরায়ণতা, মানবপ্রেম,দেশপ্রেম, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ইত্যাদি মানবীয় গুণ সাহিত্যের মাধ্যমে জাতির মস্তিষ্কে সঞ্চারিত হয়। আবার হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার, নীতিভ্রম, পাষণ্ডতা ইত্যাদি বর্জনীয় গুণ থেকেও মানবমস্তিষ্ক মুক্তি লাভ করে সাহিত্যের মাধ্যমে। তবে এর জন্য শর্ত হচ্ছে সাহিত্যের পরিচ্ছন্নতা। আজ মুসলমান জাতি পরিচ্ছন্ন সাহিত্য থেকে বঞ্চিত। যেই জাতি পুরো দুনিয়াকে সাহিত্য রচনা শিখিয়েছে, সেই জাতি এখন পথভ্রষ্ট সমাজের কাছে ভিক্ষার হাত সম্প্রসারিত করে আছে। দুশমনদের অন্ধকার কথামালাকে পরম উন্নত সাহিত্য মনে করে তাতে নির্দ্বিধায় অবগাহন করছে। সেগুলো অনুবাদ করে, অথবা সেগুলোর ছায়া ধারণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে পেশ করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষিত জাহেল দ্বারা মুসলিম সমাজ ভরে উঠছে এবং তাদের হাতে চলে যাচ্ছে জাতির নিয়ন্ত্রণভার।
এই ক্রান্তিকালেও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন সাহিত্য নির্মাণের ব্রত নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই তালিকায় ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে বাংলা সাহিত্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তণের প্রত্যয় নিয়ে যুক্ত হয়েছে হুদহুদ প্রকাশন। আল-হামদু লিল্লাহ, প্রতিষ্ঠানটি মাত্র পাঁচ বছরে প্রায় আট ডজন নতুন পুস্তক প্রকাশ করেছে।
প্রকাশ থাকে যে, ইসলামী সাহিত্যসেবার মানসিকতা লালনকারী কিছু তরুণ আলেমের উদ্যোগ হচ্ছে হুদহুদ প্রকাশন। এদের বেশিরভাগ নিয়মতান্ত্রিক পেশার পাশাপাশি লেখালেখিতে নিয়োজিত রয়েছেন। হুদহুদের বেশিরভাগ গ্রন্থ-পুস্তক এদের হাতেই রচিত বা অনূদিত হয়ে থাকে। অবশ্য এই পরিবারবহির্ভূত আলেমদের লেখা বা অনুবাদও কিছু কিছু প্রকাশ করা হয়।
বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্যের অঙ্গন সমৃদ্ধ করার জন্য হুদহুদ প্রকাশন বিরাট পরিকল্পনা নিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। সেই পরিকল্পনায় থাকবে বেশকিছু বিভাগ । ইনশা আল্লাহ প্রত্যেকটি বিভাগে পর্যাপ্ত পরিমাণ বইপুস্তক প্রকাশের দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে। বিভাগগুলোর শিরোনাম এখানে তুলে ধরা হচ্ছে-
(ক) সাধারণ ইসলামী সাহিত্য
(খ) ইসলামী তারুণ্য [যুবসামজের জন্য]
(গ) শিশু-কিশোর
(ঘ) নারীমহল
(ঙ) ইসলামের ইতিহাস
(চ) ইসলামী উপন্যাস
(ছ) আমাদের মহাপুরুষ [ইসলামিক বায়োগ্রাফী]
(জ) হাদীস-তাফসীর
(ঝ) ইসলামী কবিতা ও সংগীত
(ঞ) ইসলামী সাময়িকী ।
বাংলাদেশের ইসলামী প্রকাশনা জগতে চিন্তাশীল লোকের খুব অভাব। এজন্য সৃজনশীল তৎপরতার লক্ষণীয়ভাবে কম। বেশিরভাগই নকলপ্রবণতায় লিপ্ত। ফলে জন্মের পর থেকেই হুদহুদ প্রকাশন হিংসার পাত্রে পরিণত হয়েছে। পাঠকসমাজের সচেতনতাই এক্ষেত্রে হুদহুদের পথ আগলে রাখতে পারে। খরিদ করার আগে যদি কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা হয়, তা হলে হুদহুদ প্রকাশনের পুস্তকটি নিশ্চিতভাবে পাওয়া যাবে-
• হুদহুদের লোগো দেখে নেওয়া
• মহাপরিচালকের বক্তব্য পড়ে দেখা
• আইএসবিনএন নাম্বার/বারকোড যাচাই করা
• প্রয়োজনে ফোন বা ম্যাসেজের মাধ্যমে পরিচালক / মহাপরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা।
হুদহুদের বই পড়ে যদি আপনার কোন উপকার হয়, তা হলে সোস্যাল মিডিয়ায় একটি মন্তব্য প্রকাশ করতে পারেন। আমাদেরকেও জানাতে পারেন আপনার প্রতিক্রিয়া, তা হলে হয়তো আমরা অনুপ্রেরণা অনুভব করব । ত্রুটিবিচ্যুতি হয়ে থাকলে শুধরে নেব। আল্লাহ তাআলা হুদহুদের যাবতীয় খেদমত কবুল করুন। আমীন ।
বিনীত
মুহাম্মাদ আবদুল আলীম আনসারী
মহাপরিচালক, হুদহুদ প্রকাশন
ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ২৯/১২/১৪৩৯ হি. (১১/০৯/১৮ ইং)